বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন

বিরামপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে জালিয়াতি

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি::

দিনাজপুরের বিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে ব্যাপক জালিয়াতি ও দুর্ণীতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগে প্রকাশ, বিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের কোন ব্যবহারিক ক্লাশ করানো হয়না। তদুপরি ব্যবহারিক ক্লাশের জন্য প্রতি বছর বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে শুধু মাত্র দোকানের বিল/ভাউচার জমা রেখে সরকারি বরাদ্দের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। গত ডিসেম্বর ২০১৮ সালে কোন প্রচার বিজ্ঞপ্তি ছাড়া এবং স্কুল সভাপতিকে অবহিত না করে ২লাখ টাকার বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ক্রয় দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দের টাকা তুলে আত্মসাৎ করা হয়েছে। এর মাত্র ৫ মাসের ব্যবধানে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক আবার একই ভাবে কাউকে না জানিয়ে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ক্রয় দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দের টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন।

এব্যাপারে বিরামপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ আকরাম হোসেন বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট মৌখিক অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি তদন্ত করার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তার তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে, বৈজ্ঞানিক মালামালের পূর্বের কোন রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ নাই। বর্তমানে একটি রেজিস্ট্রার থাকলেও বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য যথাযথ ভাবে রাখা হয় নাই। অগোছালো ও এলামেলো ভাবে পড়ে রয়েছে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমান বলেন, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের বিষয়ে তাকে কিছু জানানো হয়নি। ছাত্রী ও ছাত্রীর অভিভাবকদের নিকট তিনি জানতে পেরেছেন, বিদ্যালয়ে কোন ব্যবহারিক ক্লাশ হয়না। তিনি তার মতামত জানিয়ে বিভাগীয় শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন।

বিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক বলেন, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের বিষয়ে সভাপতির মতামতের কোন প্রয়োজন নাই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com